ছেলেদের অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বৃদ্ধ বাবা
সুন্নাহ ডেক্স: ছেলেদের অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে এক বছর আগে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধের ঠাঁই হয় রাস্তায়। এক সপ্তাহ আগে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকায় এক পথচারীর সহায়তায় এখন হাসপাতালের বিছানায়। খোঁজ নিতে আসেননি তার কোনো স্বজন। তার ভিটেবাড়ি, সম্পত্তি লিখে নিয়েছে সন্তানেরা। এমন ঘটনা জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নে। এ অবস্থায় বৃদ্ধের ভরণপোষণের ব্যবস্থাসহ ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
যে বয়সে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ-উৎসবে মেতে থাকার কথা, তখন বাসাবাড়িতে নয় বরং হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার জন্য লড়ছেন পরিবার বিচ্ছিন্ন জয়পুরহাটের বৃদ্ধ পোদ্দার আলী।
ভরণপোষণের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সারাজীবনের সঞ্চয়টুকু গ্রাস করেছে দুই ছেলে। এরপর ছুড়ে ফেলেছে রাস্তায়। অত্যাচারে অতিষ্ঠ আর বৃদ্ধ গত ৫ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পথচারী তাকে ভর্তি করেন জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ার পর ছুটে আসেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা। কিন্তু স্বজনদের মন গলেনি। হাসপাতালই এখন তার আশ্রয়স্থল।
জয়পুরহাট সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বলেন, যদি তার পরিবার দায়িত্ব নিতে চায় তাহলে আমরা তাদের কাছে হস্তান্তর করে দেব।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুন্নবী বলেন, সরকারি হাসপাতালে যে সব ওষুধ রয়েছে; সেগুলো দিয়ে আমরা তার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
বৃদ্ধের দাবি, তার সন্তানরা ভিটেমাটি ও সব সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। তার নাতি বিষয়টা স্বীকার করলেও বড় ছেলে তা অস্বীকার করেন।
বৃদ্ধর ভরণপোষণের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন বলেন, বৃদ্ধের আইনের যে অধিকার রয়েছে; সেটা পূরণে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জয়পুরহাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সরকারি ভাতাসহ অন্যান্য যেসব সুবিধা রয়েছে; সেগুলোর আওতায় তাকে নিয়ে আসব।
জেলার সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়তাহার গ্রামের বাসিন্দা পোদ্দার মোল্লার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
তথ্যসূত্র - BDlive24.com
কোন মন্তব্য নেই