ধর্ষণের শাস্থি ক্রসফায়ার ; ভেবে দেখা প্রয়োজন
হিফজুর: বাংলাদেশে ইদানীং ধর্ষণ মহামারীতে রূপ নিয়েছে। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, শহর গ্রাম সবখানেই নারী সহিংসতার শিকার।
ধর্ষণ এতোটাই বেড়েছে যে, দেশের সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে।
ধর্ষণের কারণ- পরিবারের অনৈতিক চর্চা, অর্থের পূজা ও সার্টিফিকেট নামে শিক্ষা ব্যবসা, অনৈতিকতা পশুত্বকে প্ররোচিত করে। প্রকৃত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার চর্চা এবং পরিবার পূজা হতে অর্থপূজাকে বাদ দিয়ে প্রজন্ম গঠনে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
নারী স্বাধীনতার নামে অপসংস্কৃতি ও অসামাজিকতার চর্চাকে না বলতে হবে।
বিচার পরিচালনায় যে যে বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন-
আমরা প্রতিবাদে দাবি করছি, ধর্ষককে ক্রসফায়ার দেওয়া হোক।
ক্রসফায়ার দিলে কিছু সমস্যা দেখা দিবে, ক্রসফায়ারের নামে নিরপরাধের মৃত্যু হতে পারে। তাই ক্রসফায়ার কোন বিচার নয়।
একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, ওসি প্রদীপ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মাদকদ্রব্যে ফাঁসিয়ে ক্রসফায়ার দিয়েছিলো।
যদি ধর্ষকের শাস্থি ক্রসফায়ার করা হয়, তাহলে ওসি প্রদীপের মতো অসাধু ব্যক্তিরা নিরপরাধকে ফাঁসানোর সুযোগ পেয়ে যাবে।
আমরা জানি যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের শাস্থি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আছে। এখন শুধুমাত্র ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অতি দ্রুততার সহিত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ও তার বিচার করা বাকি থাকে। যা বর্তমানে অতি ধীরগতিতে হচ্ছে।
ব্যক্তি কোন দলের লিডার, কোন দলের নেতা, পাতিনেতা না দেখে তার বিচার করা হবে এই দাবি করি।
যে ব্যক্তি ধর্ষক বলে প্রমাণিত হবে, তাকে সর্বোচ্চ শাস্থি দেওয়া হোক।
ক্রসফায়ার হলে, নিরপরাধ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা হতে পারে এই আশংকা করি। সুতরাং ক্রসফায়ার নয় সর্বোচ্চ শাস্থি ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানাই/জানানো প্রয়োজন।
-চারটি বিষয়ের সংযোগ স্থাপন করা ন্স গেলে,ধর্ষণ ঠেকানো অসম্ভব :
১)নারীর পর্দা
২) পুরুষের নজরের হেফাজত।
৩) নারী-পুরুষ উভয়ের তাকওয়া।
৪) কঠোর বিচারব্যবস্থা।
কোন মন্তব্য নেই